জাতীয় সঙ্গীত
বুধবার | ১৯-১১-২০২৫ |
নান্দিনা মহারাণী হেমন্ত কুমারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

নান্দিনা (২০০০১), জামালপুর সদর, জামালপুর ।

স্থাপিতঃ ১৯৩৫ খ্রিঃ
EIIN: 109881
School Code: 8809
সর্বশেষ নোটিশ
07
Jun
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা
বিস্তারিত

21
May
স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম চালু সম্পর্কে
বিস্তারিত

11
Apr
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন নীতিমালা
বিস্তারিত

আমাদের কথা

স্কুল বা বিদ্যালয় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত । একেবারে অপরিপক্ক বয়স থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত স্কুল আমাদের জীবনে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে । তাই স্কুলকে বলা হয় আমাদের দ্বিতীয় গৃহ । যে স্কুল আমাদের ছোট থেকে বড় করেছে, প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে থেকেছে ; সেই স্কুলের শেষ দিনের বিদায়বেলায় সব অনুভূতিগুলো যেন বর্ণহীন হয়ে যায় । শুধু মনে পড়ে যায় পুরোনো স্মৃতিগুলো ;বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো খুনসুটি মাখানো অমূল্য কিছু মুহূর্ত ; টিচারের ভালোবাসা মাখানো বকুনি ; পরিচিত ক্লাসরুমের চেনা গন্ধ ; টিফিন ভাগ করে খাওয়ার আনন্দ — আরও কত কী । তাই বিদায় বেলায় এসে স্কুল ছেড়ে যেতে একটুও মন চায় না কারোরই । প্রত্যেকেরই কমবেশি মনে হয় যেন ছোট থাকলেই ভালো হতো । এছাড়াও আরও বিশেষ কিছু অনুভূতি ঘোরাফেরা করে মনের চারিপাশে কিন্তু তা বাঙময় হয়ে উঠতে পারে না ; গোপনেই থেকে যায় অব্যক্ত যন্ত্রণাগুলো কারণ বাস্তব যে এটাই ! স্কুলবেলার স্বর্ণালী দিনগুলো আর কখনোই ফিরে আসবে না । তাই শুধু স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকা আর ছেলেবেলার স্মৃতি রোমন্থন করে ভালোলাগার প্রত্যেকটি মুহূর্তগুলি সজীব করে তোলা ; এটাই কঠিন সত্য আর এটাই জীবন ।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

তৎকালীন বৃটিশ আমলে পুটিয়া (রাজশাহী) রাজ ষ্টেটের জমিদার মহারাণী হেমন্ত কুমারী দেবীর দানকৃত জমির উপর ১৯৩৫ সনের ৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এদিন বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন, বৃটিশ বিভাগীয় কমিশনার মি: ডব্লিউ,এইচ, নেলসন,আ,সিএস। সাথে ছিলেন রাজা বাহাদুর স্বর্গত: সচীন্দ্র নারায়ন সন্ন্যাল ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মি: ডাউ আই সিএস। জমিদার মহারাণীর পক্ষে শচীন্দ্র নারায়ন সন্ন্যাল বিদ্যালয়কে ৭ একর জমি লিখে দেন। ১৯৩৭ সনে স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে। ১৯৫৮-৫৯ সনে যুক্তরাষ্ট্রের ফোড ফাউন্ডেশন এর সাথে চুক্তি অনুযায়ী দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে বহুমুখী কার্যক্রম প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে এবং নিজ নিজ এলাকায় স্কুলগুলো বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তনের ব্যাপারে আর্দশ হিসেবে কাজ করে মাধ্যমিক শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৫টি বেরসরকারী পথপ্রদর্শক বিদ্যালয় নির্বাচিত করা হয়। অত্র বিদ্যালয়টি তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও বহুমুখী কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরুপ সে সময়ে (১৯৫৯-৬২) সনে দেশের অন্যতম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৯৮১ সনের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হয় এবং ১৯৮১ সনের ২৮মে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলের সকল স্থাবর অস্থার সম্পত্তি ‘ডিড অব গিফট’ এর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে মহারাণী হেমন্ত কুমারী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংক্ষিপ্ত করে রাখা হয় এম,এইচ,কে সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৩৫ থেকে ২০১২ সন। মাঝখানে কেটে গেছে ৭৬ বছর। দীর্ঘ সময়ে বিদ্যালয়টিকে পেছনের দিকে তাকানোর ফুসরত ছিল না। কী লেখাপড়া, খেলাধুলা, কী সাংস্কৃতিক চর্চা এর কোনটাই বিদ্যালয়কে পেছনে ফেলেতে পারেনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা স্থান থেকে ছাত্ররা হোষ্টেলে থেকে লেখাপড়া করেছেন। এ স্কুলে লেখাপড়া করে দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসাবিদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, চিত্রশল্পী, সাংবাদিক, নাঠ্যকার, গীতিকার, চলচ্চিত্রকার, যাদুকরসহ নানা পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি অত্র বিদ্যালয় খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে সারা দেশের সুমাম কুড়িয়েছে। ইংরেজি এফ অক্ষরের মত বিদ্যালয়ের পুরনো একাডেমীক ভবন, প্রশাসনিক ভবন বিদ্যমান থাকলেও বিগত এক যুগ আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিলেটিজ বিভাগের অধীন একাধিক বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ভিশন ও মিশন ভিশন: শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশের মাধ্যমে মানবিক, সামাজিক ও নৈতিক গুণসম্পন্ন জ্ঞানী, সৃজনশীল, দেশপ্রেমিক, একুশ শতকের উপযোগী মান সম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। মিশন: শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা ও সম্ভাবনা বিকাশের মাধ্যমে সৃজনশীলতা, কল্পনা ও অনুসন্ধিৎসা বৃদ্ধি করা; শিক্ষার্থীর মধ্যে মানবিক গুণাবলি, যেমন- নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, অধ্যবসায়, সহিষ্ণুতা, শৃঙ্খলা, আত্মবিশ্বাস, সদাচার, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, নান্দনিকতাবোধ, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও ন্যায়বিচারবোধ সুদৃঢ়ভাবে গ্রথিত করা; শ্রমের মর্যাদা, কাজের অভ্যাস ও কাজ করতে আগ্রহী হওয়ার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বিকশিত করা যাতে শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত এবং দলগত উভয় ধরনের কাজ সম্পাদনে নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা সৃষ্টি করা; শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে আত্মবিশ্বাসী, উৎপাদনশীল এবং সৃজনশীল হিসাবে তৈরি করা; শিক্ষার্থী যাতে জীবনমান উন্নয়নের জন্য জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সমস্যা অনুসন্ধান ও সমাধানে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারে সে লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করা; দক্ষ জনশক্তি যোগান দেয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বি ও দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করা; কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ (Strategic Objectives): মানসম্মত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতার (Access) উন্নয়ন ঘটানো কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সকল ক্ষেত্রে সাম্য ও সমতার নীতি প্রতিষ্ঠিত করা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সু-শাসন জোরদার করা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও লালন করা

বার্তা
...
নাম

পদবী

.
এ.বি.এম আজহারুল ইসলাম

প্রধান শিক্ষক

Institute Location Google Map
আমাদের শিক্ষকবৃন্দ

সংবাদ ও ঘটনাবলী

.
বার্তা
...
নাম

পদবী

.
এ.বি.এম আজহারুল ইসলাম

প্রধান শিক্ষক

Institute Location Google Map